ভোলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

মেঘনা নদীর পাড়ে জেলেদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলভোলায় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে জেলেদের জন্য বরাদ্দ সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে। বরাদ্দ চালের চেয়ে জেলেরা পাঁচ থেকে সাত কেজি করে চাল কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে ভুক্তভোগী ও বঞ্চিত প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে ইলশা ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন।

ওই এলাকার জেলে মাইনুদ্দিন মাঝি, জামাল মাঝি, হেজু মাঝিসহ অনেক জেলে অভিযোগ করে বলেন, ‘এ বছর ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলছে। এ সময়ে জেলেদের জন্য সরকার ২০ কেজি করে পুনর্বাসনের চাল বরাদ্দ করে। কিন্তু সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের অনেক জেলেই এ চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যারা পেয়েছেন তাদের ১৩ থেকে ১৫ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তারা পেটের জ্বালায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেল-জরিমানার শিকার হয়েছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান হাসান মিয়া নতুন করে হোল্ডিং ট্যাক্সের নাম দিয়ে প্রত্যেক জেলেঘর থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। যা এর আগে কোনও চেয়ারম্যানের সময়ে দেওয়া লাগেনি।’

জেলেরা চাল বিতরণে অনিয়মের জন্য চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়ার বিচার দাবি করেন।

তবে চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়া চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ২০ কেজি করে ২ হাজার ৭৫০ জন জেলের চাল পেয়েছি। এ চাল তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। একটি পক্ষ নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরতে না পেরে জেলেদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছে।’

সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে মোট চার হাজার ৮০০ কার্ডধারী জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার জনকে পুনর্বাসনের জাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।