বগুড়ায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামী-সতীনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

nonameযৌতুক না পেয়ে বগুড়ার গাবতলীতে আছিয়া বেগম নামে এক গৃহবধুকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।  সোমবার বিকেলে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহিম এই আদেশ দেন। এসময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলো বগুড়ার গাবতলী উপজলোর রানীরপাড়া গ্রামের ছরোপ মন্ডলের ছেলে সবুজ মন্ডল (৪০) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুকছানা বেগম (৩২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সবুজ মন্ডল প্রায় ২০ বছর আগে গাবতলী উপজলোর মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে  আছিয়া বেগমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুই সন্তানের জন্ম হয়। সবুজ মন্ডল প্রায় ১১ বছর আগে রুকছানা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক দাবি করতে থাকে সবুজ মন্ডল। এ ঘটনায় গ্রামে শালিস বসলেও সমাধান হয়নি। এক পর্যায়ে সবুজকে ৫ হাজার টাকা যৌতুক দেন আছিয়ার ভাই মোত্তালেব হোসেন। তারপরও সে আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। এই টাকা দিতে না পারায় ২০১৪ সালের ২ আগস্ট আছিয়া বেগমকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে তাকে ঘরের মধ্যে মরদেহ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

পরে নহিতরে ভাই মোত্তালেব হোসেন গাবতলী থানায় ভগ্নপিতি সবুজ মন্ডল,বোনের সতীন রুকছানা বেগম, দেবর লাল মন্ডল ও আত্মীয় মোমিন প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশেকুর রহমান সুজন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সবুজ আগে থেকেই কারাগারে রয়েছে। জামিনে থাকা রুকছানাকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।