সুনামগঞ্জে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

সুনামগঞ্জচিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে দায়ের মামলায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চেয়ারম্যান চিকিৎসা নিতে আসলে তার ছেলে সাইদুর রহমান রাজিব এক চিকিৎসককে মারধর করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ও তার ছেলেকে আসামি করে মামলা করেন ওই চিকিৎসক। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন জানান,  সোমবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার দেখাতে আসেন। তাদের সঙ্গে ব্যবস্থাপত্র ছিল না। ডা. আখতারুজ্জামান আখন্দ ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় রাজিব মোবাইলে ব্যবস্থাপত্রের ছবি দেখান। পরে চিকিৎসক চেয়ারম্যানকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য নার্সদের রুমে যেতে বলেন। এতে রাজিব ক্ষেপে যান। তিনি ডা. আখতারুজ্জামানকে শার্টের কলার ধরে মারধর করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, ‘মারধরের কারণে ডা. আখতারুজ্জামানের বাঁ কানের পর্দা ফেটে গেছে। বর্তমানে ওই চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) আমরা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সব সরকারি চাকরিজীবীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন করেছি।’

পুলিশের হাতে গ্রেফতারের আগে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় এ ঘটনা ঘটেছে।’

ওসি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।