বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন জানান, সোমবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার দেখাতে আসেন। তাদের সঙ্গে ব্যবস্থাপত্র ছিল না। ডা. আখতারুজ্জামান আখন্দ ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় রাজিব মোবাইলে ব্যবস্থাপত্রের ছবি দেখান। পরে চিকিৎসক চেয়ারম্যানকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য নার্সদের রুমে যেতে বলেন। এতে রাজিব ক্ষেপে যান। তিনি ডা. আখতারুজ্জামানকে শার্টের কলার ধরে মারধর করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, ‘মারধরের কারণে ডা. আখতারুজ্জামানের বাঁ কানের পর্দা ফেটে গেছে। বর্তমানে ওই চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) আমরা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সব সরকারি চাকরিজীবীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন করেছি।’
পুলিশের হাতে গ্রেফতারের আগে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় এ ঘটনা ঘটেছে।’
ওসি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।