কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো দেড় কোটি টাকা

চলছে টাকা গণনাকিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে, যা অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। প্রতিবারের মতোই টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া গেছে দানবাক্সে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ তথ্য জানান।  
প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। পরে টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলার মেঝেতে রেখে গণনা করা হয়। মসজিদের মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ ৬০ জন ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনায় অংশ নেন। টাকা গুনতে সকাল পেরিয়ে বিকাল হয়ে যায়। এই মসজিদের দানবাক্স থেকে ইতোপূর্বে সর্বোচ্চ এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র সার্বক্ষণিক টাকা গণনার কাজ তদারকি করেছেন।

দানবাক্সের টাকা এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা পুলিশ পাহারায় স্থানীয় রূপালী ব্যাংকের মসজিদের হিসাবে জমা রাখা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ জুলাই এই মসজিদের দানবাক্সে এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ওই সময় বৈদেশিক মুদ্রাসহ বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।’

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। মানুষের বিশ্বাস, এখানে ইবাদত-বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান-খয়রাত করেন মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় দানবাক্স। প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত করতে।