প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। পরে টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলার মেঝেতে রেখে গণনা করা হয়। মসজিদের মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ ৬০ জন ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনায় অংশ নেন। টাকা গুনতে সকাল পেরিয়ে বিকাল হয়ে যায়। এই মসজিদের দানবাক্স থেকে ইতোপূর্বে সর্বোচ্চ এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র সার্বক্ষণিক টাকা গণনার কাজ তদারকি করেছেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। মানুষের বিশ্বাস, এখানে ইবাদত-বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান-খয়রাত করেন মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় দানবাক্স। প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত করতে।