রুমায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাড়‌তি কেন্দ্র ফি আদায়ের অভি‌যোগ

রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যাল‌য়বান্দরবানের রুমা উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি কেন্দ্র-ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের  প্রধান শিক্ষক মো. দে‌লোয়ার হো‌সে‌ন এ বাড়তি ফি নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।  

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, বোর্ড নির্ধারিত জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ফি ১৫০ টাকার স্থলে প্রধান শিক্ষক নি‌চ্ছেন ৪শ’ টাকা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, দুর্গম এলাকায় পণ্য প‌রিবহন খরচ বে‌শি ও শিক্ষার্থীও তুলনামূলক কম, তাই বাড়‌তি খরচ হ‌বে অজুহা‌তে বে‌শি ফি নি‌চ্ছেন বিদ্যালয়‌টির প্রধান শিক্ষক। বাড়‌তি টাকা না দি‌লে শিক্ষার্থীদের প্র‌বেশপত্রও ‌দেওয়া হ‌চ্ছে না।

এলাকাবাসী জানায়, দুর্গম উপ‌জেলার এ অঞ্চ‌লের মানুষরা অতি দ‌রিদ্র। এখানকার ছে‌লেমে‌য়েরা যেন অভাব-অনট‌নের পরও শিক্ষা নি‌তে পা‌রে সেজন্য সরকার মিট দ্য মিল চালুসহ নানা কর্মসূচি হা‌তে নি‌য়ে‌ছে। এর মধ্যে শিক্ষকরা এসব হতদ‌রিদ্র প‌রিবার ও শিক্ষার্থী‌দের কাছ থে‌কে নানা অজুহা‌তে বাড়‌তি টাকা আদায় কর‌ছে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ‌ক্ষের তদন্ত ক‌রে দেখা উচিত। বাড়‌তি কেন্দ্র ফি আদায় করায় ক্ষোভ প্রকাশ ক‌রেন তারা।

এ বিষ‌য়ে জান‌তে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হ‌লে তিনি বলেন, ‘আমরা কেন্দ্র ফি দি‌য়ে পোষা‌তে পার‌ছি না। বিষয়‌টি উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা‌কে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।’

বান্দরবান মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সোমা রাণী বড়ুয়া বলেন,‘সরকার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও দুগর্ম এলাকায় এ টাকা দিয়ে পোষানো সম্ভব হয় না। তাই স্কুল কমিটি নির্ধারণ করেছে কত টাকা নেবে। এ অভিযোগ আসার পর আমি বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি।’

চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান জানান, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে বাড়তি ফি নেওয়ার কারও কোনও এখতিয়ার নেই।

জানা গেছে, রুমায় মোট জেএস‌সি পরীক্ষার্থী ২৭০ জন।