স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে একদল সন্ত্রাসী তুষখালী কলেজে ঢুকে কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা শুরু করে। এসময় কলেজে দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী খাইরুল ফরাজী বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলাকারীরা কলেজের একটি ট্রাক, একটি বাস, মোটরসাইকেল ও রাস্তার একটি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে কেউ হামলার কারণ জানাতে পারেননি।
মঠবাড়িয়া থানার (ওসি) আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান তুষখালী কলেজে রাতে হামলার কথা স্বীকার করে জানান, ‘হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কাউকে মারধরের খবর আমার জানা নেই। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। হামলায় জড়িত সন্দেহে তুষখালী ইউপি সদস্য মিলন হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে।’
হামলার খবর নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই এই হামলা হয়েছে। হামলাকারী কারা তা আমরা বুঝতে পেরেছি, কিন্তু এখনই তাদের পরিচয় বলা যাবে না। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করবো।’
মঠবাড়িয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত বলেন, ‘শুক্রবার পিরোজপুরে পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলায় মঠবাড়িয়া একাদশ অংশ নেয়। খেলা শেষে রাতে দর্শকরা বাসে করে মঠবাড়িয়ায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে তুষখালী কলেজের সামনে সেখানে আগে থেকে একটি বাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে লোকজন অপেক্ষা করছিল। পিরোজপুর থেকে যাওয়া বাসটি তারা আটকে বাসের লোকজনকে মারধর করে।এরপর হামলাকারীরা তুষখালী কলেজের মধ্যে ঢুকে যায়। হামলাকারীরা পিরোজপুর থেকে যাওয়া বাসটিতেও ভাঙচুর করে। তবে কলেজ ভাঙচুরের ঘটনাটি সাজানো বলে আমার মনে হচ্ছে।’