জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চলের পদত্যাগ

জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে  এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল পদত্যাগ করেছেন। 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে জানান, 'চঞ্চল গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সেলে পদত্যাগপত্র জমা দেয়। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।'

কী কারণ দেখিয়ে চঞ্চল পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তা জানাতে রাজি হননি লেখক ভট্টাচার্য। 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক আহসান হাবিব সাংবাদিকদের জানান, তিনি গত মঙ্গলবার চঞ্চলের পদত্যাদপত্র হাতে পেয়েছেন। 

তিনি বলেন, 'আমি পদত্যাগপত্র পড়ে দেখিনি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করে থাকতে পারেন। পদত্যাগের  বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে প্রেস রিলিজ আকারে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।'

এ বিষয়ে আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, 'এ বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও আমাকে কিছু জানায়নি।'

গত ২৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাধাহীনভাবে সম্পন্ন করতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম গত ০৯ আগস্ট শাখা ছাত্রলীগের তিনটি পক্ষকে এক কোটি টাকা ভাগ করে দিয়েছেন। সভাপতি মো. জুয়েল রানা ৫০ লাখ, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল ২৫ লাখ এবং অপর পক্ষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারীরা ২৫ লাখ টাকা পান বলে ওই খবরে বলা হয়। 

উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলনের মধ্যে ওই খবর প্রকাশিত হলে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। সে আন্দোলন এখন উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে পরিবর্তিত হয়েছে। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, চঞ্চল আগস্টের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজ জেলা দিনাজপুর চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ রাখেননি। 

চঞ্চলের বিরোধীপক্ষের নেতা-কর্মীরা বলেন, অনুসারীদের টাকার ভাগ না দিতেই তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন। 

এর আগে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মো. জুয়েল রানাকে সভাপতি এবং এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। প্রায় দুই বছর ধরে ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিতর্কিত হয়ে পড়েছিল কমিটিটি।