কাল থেকে মোংলা বন্দরে পুরোদমে কাজ শুরু

মোংলা বন্দরঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় খুলনার মোংলার পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তবে ঝড়ে পশুর নদীতে বিদেশি কোম্পানির ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিড বোট এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় এক হাজারের বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তার ওপর বড় বড় শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে মোংলা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। এর ফলে মোংলা বন্দরে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাত থেকেই দেশি-বিদেশি জাহাজ চলাচলের কাজ শুরু হবে বলে জানান হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘রাতেই জাহাজ চলাচলের কাজ শুরুর পরই সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই বন্দরের অপারেশনাল কাজ পুরোদমে শুরু হবে। একই সঙ্গে বন্দরের পশুর চ্যানেল ও জেটিতে অবস্থান করা ১৪টি বিদেশি জাহাজে পণ্য ওঠা নামার কাজ শুরু হবে। এদিন মোংলা বন্দরে আরও সাতটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আসার শিডিউল রয়েছে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে উপজেলার প্রায় এক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঝড়ের রাতে অনেক কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন খাবার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের কানাইনগর সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান নেওয়া দুর্গতদের মাঝে সরকারি-বেসরকারি কোনও খাবারই আসেনি। সারা রাত না খেয়ে সকালে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় দুই শ’ নারী-পুরুষ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান বলেন, ‘মোংলা বাজারের সব শুকনো খাবার কিনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সবার মাঝে বিতরণের। তবে একটি কেন্দ্রে রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের আসতে দেরি হওয়ায় দুর্গতদের মাঝে খাবার দিতে দেরি হয়। এটার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার ছিল।’