এমপি বললেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই জন সন্ত্রাসী ছিল না

নিহত দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলামসাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের দুই দেহরক্ষী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসী ছিল। তারা দুই জন সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র আস্থাভাজন ছিল বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘তারা সন্ত্রাসী ছিল না।’ তিনি এই প্রসঙ্গে আর কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

মীর মোস্তাক আহমেদ রবি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ফোনে কথা বলা যাবে না। সরাসরি কথা বলতে হবে।’

উল্লেখ্য, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়। পরে মধ্যরাতে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা মোড়ে তাদের নিয়ে অভিযানে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। কালীগঞ্জের এক ব্যক্তির ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন লোককে হত্যার সঙ্গে দ্বীপ ও সাইফুল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

দ্বীপ আজাদ শহরের মুনজিতপুর এলাকার মইনুল ইসলামের ছেলে। আর সাইফুল ইসলাম কালীগঞ্জের সাইহাটি গ্রামের সবুর সরদারের ছেলে।

বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন।

আরও পড়ুন- ছাত্রলীগ নেতার দুই দেহরক্ষী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত