এইডসের ঝুঁকিতে হিলি স্থলবন্দর

হিলি স্থলবন্দরএশিয়ায় এইচআইভি-এইডসে আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে ভারত। ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ’ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করে। এসব ট্রাকের চালক-হেলপার ছাড়াও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আট-নয়শ’ জন পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এই স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকা এইডসের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় কয়েকটি এনজিও সূত্রে জানা গেছে, হিলিতে ১৪-১৫ জনের মতো এইচআইভি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন বাকিদের চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী আতাউর রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন চার-পাঁচশ’ জন ড্রাইভার হেলপার দেশে প্রবেশ করে। তারা এখানে অনেক সময় যৌনকর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা করেন। এতে তাদের মাধ্যমে এইচআইভি এইডস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। আমাদের দাবি, তাদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক।’

হিলিতে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থা লাইট হাউজ হিলি সাব ডিআইসি সেন্টারের কোঅর্ডিনেটর মোস্তাফিজুর রহমান ও আরিফুর রহমান বলেন, ‘এখানে আগে অনেক এনজিও এইচআইভি প্রতিরোধে কাজ করলেও এখন তারা আর কাজ করছে না। আমাদের কাছে তথ্য আছে, এইচআইভি প্রতিরোধে কাজ না করলে হিলি অবশ্যই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।’

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা ব্যক্তিদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে না।’ এখানে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।