রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিন দশমিক আট একর জমির ওপর নির্মিত বাফার গোডাউন নির্মাণের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফসল উৎপাদনে সারের বিকল্প নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংকট দূর করতে সার মজুত করতে হবে। এজন্য আমদানি ও নিজস্ব উৎপাদিত সার চাহিদা মোতাবেক প্রত্যেক জেলায় মজুত রাখা হবে। এজন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিজস্ব গোডাউন নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিসিআইসি চেয়ারম্যান হাইয়ুল কাইয়ুম জানিয়েছেন, ৪৭টি গোডাউন নির্মাণে সরকার প্রায় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করছে। এর ফলে খোলা আকাশের নিচে আর সার ফেলে রাখতে হবে না। আমরা বছরে প্রায় ৩৪ লাখ মেট্রিক টন সার কৃষকের হাতে পৌঁছে দিই। এরমধ্যে ভাড়া করা গোড়াউনে মাত্র তিন লাখ মেট্রিক টন সার রাখা সম্ভব হয়। বাকি সার খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়। ফলে সারের মান কিছুটা নষ্ট হয়। গোডাউনগুলোর নির্মাণ শেষ হলে আমাদের আর খোলা আকাশের নিচে সার রাখতে হবে না।
প্রসঙ্গত, যশোরে নির্মিত এ বাফার গোউনের ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার মেট্রিক টন। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।