পরিস্থিতি দেখতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা সুন্দরবনে

জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা সুন্দরবনেজাতিসংঘের যৌথ মিশনের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তিন দিনের সফরে সুন্দরবন এসেছেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তারা টানা তিনদিন অবস্থান করে পরিবেশগতভাবে হুমকির মুখে থাকা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা দেখবেন এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলার বন বিভাগের ফুয়েল জেটি থেকে প্রতিনিধি দলটি বন বিভাগের নৌযান ‘বনবিলাসে’ ওঠেন। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রয়েছেন বন বিভাগের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরাও। আগামী ১৩ ডিসেম্বর বন থেকে ফেরার কথা রয়েছে তাদের। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা সুন্দরবনে

সুন্দরবন বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো এবং প্রকৃতি রক্ষার বৈশ্বিক সংগঠন আইইউসিএনের এ যৌথ মিশনে দুই জন পুরুষ ও দুই নারী পরিবেশবিদ রয়েছেন।

জাতিসংঘের এই যৌথ মিশনটি সুন্দরবন পরিদর্শনের পাশাপাশি বনের আশপাশে অবস্থিত শিল্প-কলকারখানা, বিশেষ করে রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বরগুনার তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব ছাড়াও আন্তজাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলার পশুর চ্যানেলসহ অন্যান্য নদী খননের ফলে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর প্রতিবেশগত কী প্রভাব পড়ছে এবং পড়বে তাও পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবেন। এই যৌথ মিশনের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ কমিটি সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর প্রতিবেশগত হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করে।জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা সুন্দরবনে

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ইউনেসকোর নয়াদিল্লি অফিসের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ফর ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের সদস্যা গাই ব্রুক, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সেন্টারের অ্যাকান নাকামুরা, আইইউসিএনের এলিনা অসিপভা ও এন্ড্রো ওয়াইট।

এদিকে এই প্রতিনিধি দলের সুন্দরবন পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিলসহ বনে অবাঞ্ছিত লোকজনের প্রবেশ ও সব ধরনের বনজ-জলজ সম্পদ আহরণ বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।