মুন্সীগঞ্জে হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন

৩২

১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ জেলা।

দিবসটি উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে অংশ নেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলতুন্নেছা ইন্দিরা।

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হোসেন,  সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান আনিস, সদর উপজেলা নির্বাহী আফিসার ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ সদর পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।

এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্দোগে ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪৮টি ফানুস উড়িয়ে দিনের সূচনা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকেই জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে কোণঠাসা হতে থাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। ১০ ডিসেম্বর রাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দিক থেকে হানাদার বাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের দিকে এগোতে থাকেন। পরিশেষে কোনও কূল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে হানাদার বাহিনী ১১ ডিসেম্বর ভোরে দিকে মুন্সীগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায়। শক্রমুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ। আকাশে ওড়ে বিজয় কেতন।