ফুপাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার

মো. বিল্লালঅন্যকে ফাঁসাতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন ফুপাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যা করেছে মামাতো ভাই মো. বিল্লাল। আদালতে বিল্লাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

পুলিশ আরও জানায়, বিল্লালের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা ও রক্তমাখা জামা-কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, ‘নাছির উদ্দিন নসু হত্যার ঘটনায় তার মামা জিয়াউল হক বাদী হয়ে বিল্লাল ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামি বিল্লালকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি কাঁচা রাস্তার ওপর থেকে মো. নাছির উদ্দিন ওরফে নসু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিকালে মোকাম্মেল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে যান নিহতের মামাতো ভাই মো. বিল্লাল। কিন্তু আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিল্লাল নিজেই নসুকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন নাছির উদ্দিন ওরফে নসু লালমোহন উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মো. সামসুদ্দিনের ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার কোনও স্থায়ী বসবাস নেই। কয়েক দিন আগে নসু তার নানার বাড়ি বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দেউলা শিবপুর গ্রামে আসেন।

রাতে বিল্লাল তার ফুপাতো ভাই নাছির উদ্দিন নসুকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বলে ৪-৫টি ঘুমের বড়ি খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়ির পাশে একটি বিলে নিয়ে যায়। সেখানে নসুকে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় বিল্লাল। পরে ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বাড়ি চলে যায়।

সকালে লোকজন রাস্তার ওপর গলাকাটা লাশ দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।