ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার কারণে ঘরের বাইরে বেশিক্ষণ অবস্থান করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও রাতের বেলায় পরিস্থিতি আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জবুথবু হয়ে বসে থাকতে এবং খড়কুটো জ্বালিয়ে কিছুটা উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে শহরের বিভিন্ন সড়কে। শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, ‘জেলায় ২০ হাজারের বেশি শীতবস্ত্র মজুত রয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর শামীম কবির জানান, ‘হঠাৎ করেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শীতজনিত রোগ বেড়েছে। হাসপাতালে রোগীর হার বাড়ছে। আমরা তাদের যত্ন সহকারে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। শীতজনিত রোগের হাত থেকে থেকে বাঁচতে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষকে যতটা সম্ভব গরম কাপড় দিয়ে শরীর আচ্ছন্ন রাখার এবং অযথা ঘরের বাইরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।’