সাবেক ছাত্রলীগ নেতার হামলায় চাচাতো ভাই নিহত

বগুড়া

বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আলমগীর হোসেন (৩৩) নামের একজন পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিহতের বাবা ও দুই ভাইও আহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের দাবি- শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলকার নাইম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।  নাইম নিহতের চাচাতো ভাই।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ওসি আজিম উদ্দিন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আলমগীর হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের লুৎফর রহমান আকন্দের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। কয়েকদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। তাদের সঙ্গে জমি নিয়ে চাচাতো ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নাইমদের বিরোধ চলে আসছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে আলমগীর হোসেন ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ইট দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ তদারকি করছিলেন। এসময় জুলকার নাইমের নেতৃত্বে ১২টি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে আসে। তারা আলমগীরের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। তাকে বাঁচাতে বাবা লুৎফর রহমান আকন্দ (৬০), বড় ভাই শাহীনুর রহমান (৪০) ও ছোট ভাই মনিরুজ্জামান লিমন (২৮) এগিয়ে এলে তারাও আহত হন। স্থানীয়রা আহত চারজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যার দিকে আলমগীর মারা যান।

নিহতের ছোট ভাই আবু রায়হানের দাবি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নাইম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটলও একই তথ্য দিয়েছেন।

বগুড়া মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নাইমের ছুরিকাঘাতে আহত আলমগীর শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস জানান, জুলকার নাইম এখন ছাত্রলীগের সঙ্গে নেই। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী।

অভিযুক্ত জুলকার নাইমের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।