কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ‘সকাল ও দুপুরে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং আরও দুই দিন (২ ও ৩ জানুয়ারি) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় প্রচণ্ড শীত ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে সমুদ্র বন্দরের জন্য কোনও ধরনের সংকেত নেই।’
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘বুধবার সকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় প্রতিদিনের মতো শ্রমিকরা লবণ মাঠে কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতের কবলে পড়েন আহমদ কবির (২৮) ও নুরুল আলম (৩৬) । এ ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও দুই শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’
এদিকে সকাল ও দুপুরের আকস্মিক বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ও পথচারীরা। বিশেষ করে সকালে কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর এলাকায় প্রস্তাবিত শেখ রাসেল শিশুপার্ক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বই উৎসবে আসা শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে বেশি।
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শেহেবা মুনতাহিনা জানায়, ‘নতুন বছরের নতুন বইয়ের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় শুধু আমি নই, আমার নতুন বইগুলোও ভিজে গেছে। এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।’
বই উৎসবে আসা অভিভাবক শফিকুর রহমান বলেন, ‘সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও পরে যে হঠাৎ এভাবে বৃষ্টি হবে চিন্তাও করিনি। একদিকে ছাতা নেই, অন্যদিকে বই উৎসব অনুষ্ঠানে ত্রিপলের ছাউনিও নেই। এছাড়াও আশপাশে এমন কোনও ছাউনিও নেই যেখানে আশ্রয় নিয়ে বৃষ্টি থেকে বাঁচবো। বাধ্য হয়েই বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে।’
আকস্মিক বৃষ্টিতে সদ্য শুরু হওয়া লবণ মাঠের উৎপাদিত লবণ, শীতকালিন সবজিসহ নানা ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সদরের লবণ চাষী সমিতির সভাপতি মোরশেদ রহমান খোকন জানান, ‘আকস্মিক বৃষ্টিতে লবণ চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি লবণ মৌসুমে ৬১ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় কোটি টাকার লবণ নষ্ট হয়ে গেছে।’
কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবুল কাশেম দাবি করেন, ‘লবণের ক্ষতির বিষয়টি এখনই বলতে পারছি না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে শীতকালীন সবজি ও কৃষিক্ষেত্রে বৃষ্টিতে উপকার হয়েছে।’