‘পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেলবে’

কনভেনশনে আনু মুহাম্মদ অন্যরা‘কক্সবাজার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত আমাদের মনোরম সমুদ্র উপকূলে একের পর এক কয়লা ও পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ  বাংলাদেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।’ বলেছেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।  নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা গণগ্রন্থাগারের হলরুমে কমিটির নারায়ণগঞ্জ শাখার কনভেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘মুনাফাভোগী ও পুঁজিবাদীদের আগ্রাসনের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান ধাক্কাটি পড়বে বাংলাদেশের এই উপকূলে।  এতে  পুরো বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

উপকূলীয় অঞ্চলের দূষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রামপাল থেকে একটু দূরে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন। তার আশেপাশে আরও  স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে, কক্সবাজার এলাকায় বাংলাদেশের মানুষ শ্বাস ফেলার জন্য যায়। ওই উপকূল বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই কক্সবাজার উপকূল অঞ্চলেই করা হচ্ছে সতেরোটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রতি বছর এখান থেকে ৭ কোটি টন কার্বন এবং যত বিষাক্ত জিনিস আছে তা নিঃসরণ হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের লড়াই করার প্রাকৃতিক অস্ত্রগুলো একে একে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার সেটাকেই উন্নয়ন বলছেন।  কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পৃথিবীর বড় বড় দেশ  বর্জন করছে। আর বাংলাদেশে এসব নির্মাণ করে উন্নয়নের গল্প শোনানো হচ্ছে।’

‘বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থাকতো, যুক্তি, তথ্য, তর্ক বিশ্লেষণের  সুযোগ থাকতো বা বিশেজ্ঞরা কী বলছেন, জনমত কী তা যদি সরকার শুনতো তবে অনেক আগেই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল হয়ে যেতো।’ বলেন আনু মোহাম্মদ।

সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক রাফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন– ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, বাসদের নিখিল দাস, মাঈনুদ্দিন মানিকসহ অনেকে।