তামপাত্রা কমছে জয়পুরহাটে, শীতে কাবু মৌলভীবাজার

কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়িনতুন করে শীত জেঁকে বসেছে জয়পুরহাটে। সূর্যের দেখা নেই। কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারপাশ। ফলে কমছে তাপমাত্রার পারদ। প্রচণ্ড শীতের কারণে মানুষ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এদিকে মৌলভীবাজারেও দু’দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। কুয়াশা আর হিম শীতল বাতাসে তাপমাত্রা কমছে। জেলার চা প্রধান অঞ্চল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ চা বাগানগুলোয় হাড় কাঁপানো শীত পড়ছে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন চা শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের লোকজন।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে নতুন করে শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের খেটে খাওয়া মানুষরা। শীতের জন্য তারা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। প্রচণ্ড শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলা ও আলু ক্ষেত নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। কুয়াশার কারণে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না। বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে বীজতলা। আগাম ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেও ঘনকুয়াশার কারণে আলুক্ষেত নিয়ে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের।

শীত নিবারণের জন্য দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে সরকারি ও বেসরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করছে বিভিন্ন সংগঠন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন,গত তিনদিন থেকে জেলায় নতুন করে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গত কয়েকদিনে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শীতের মধ্যে কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন কর্মজীবী লোকজনএদিকে, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি। আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘সূর্য না ওঠায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আর কুয়াশা এখন বেশি থাকবে। কারণ আকাশের মেঘ কেটে গেছে।’

চিকিৎসকরা জানান, শীতের জন্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বড়ছে। এর মধ্যে তাদের সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ার প্রকোপ রয়েছে। এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।

মৌলভীবাজার জেলা  দুর্যোগ ও ত্রাণ পুর্নাবাসন কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ৪১ হাজার ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।  আরও দুই হাজার  বিতরণ করা হয়েছে। নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ ৭ উপজেলা বিতরণ করা হয়েছে। তারমধ্যে শিশু পোশাক কেনার জন্য দুই লাখ।