কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. নাসির (৩০) নামে এক মাদক কারবারি মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশীয় তৈরি এলজি, ১২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৬ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার দইল্যা খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নাসির উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার জালাল আহমদের ছেলে। পুলিশের দাবি, নিহত নাসির চিহ্নিত একজন মাদক কারবারি।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন, এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল আব্দু শুক্কুর ও মো. হেলাল।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘শনিবার রাতে মিয়ানমার হতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সংগ্রহের গোপন সংবাদে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। টেকনাফের হ্নীলা গার্লস স্কুলের সামনে থেকে মো. নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইয়াবার চালান উদ্ধারে হোয়াইক্যং পূর্ব ইউনিয়নের সাত ঘড়িয়াপাড়ায় আমার নেতৃত্বে অভিযানে গেলে ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ গুলিবিনিময়ের পর ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাসিরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত মাদক কারবারির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ দেব বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যরা নিয়ে এসেছিলেন। তার শরীরে গুলির আঘাত ছিল। এছাড়া, আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোট ২১৭ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।