পুলিশ ও সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে একুশে টেলিভিশন, বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের রংপুর প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল ও ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে তথ্য নিতে মঙ্গলবার সকালে নগরীর প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টারের কাছে যান। এ সময় ডাকঘরের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাধা দেন। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিক বাদলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা পোস্টমাস্টার আলা মিয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় পোস্টমাস্টারের নির্দেশে ড্রাইভার ফরহাদ হোসেন, কর্মচারী সাহেব আলী সহকারী পোস্টমাস্টার শাহানাজ বেগম, পোস্টাল অপারেটর আফরোজা পলিসহ কয়েকজন কর্মচারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এতে বাংলা টিভির প্রতিনিধি বাধন, দৈনিক করতোয়ার প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, মাছরাঙ্গা টিভির ক্যামেরাম্যান ফরহাদ হোসেন, এশিয়া টিভির সুমন, ক্যামেরাম্যান হিমেল আহত হন।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
এদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন– রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার, রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি হালিম আনছারী, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহাম্মেদ, ভিডিও জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক জনি, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদ হোসেন লুসিড, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।