রাষ্ট্রীয়ভাবে পলিথিন ও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা উচিত: রাষ্ট্রপতি

পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জনে সামাজিক আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে শিক্ষার্থী ও তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আশির দশকে আমরা বাজারে যাওয়ার সময় হাতে ঝুড়ি নিয়ে যেতাম। একটি সরিষার তেল ও একটি কোরোসিন তেলের বোতল নিয়ে যেতাম, যা ছিল দড়ি দিয়ে ঝোলানো। এখন সবাই খালি হাতে বাজারে যাই। সেখান থেকে পলিথিনে করে বাজার নিয়ে আসি। সেই পলিথিন আবার যেখানে সেখানে ফেলে দিচ্ছি। এতে দেশের পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের বিষয়টি দায়িত্ব নিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে এবং এগুলো পরিহার করতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের।’

রাষ্ট্রপতি স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ফাস্ট ফুড ও বিভিন্ন ড্রিংকস বর্জন করারও আহবান জানান।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুনার রশিদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে প্রায় তিন হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে স্নাতকের এক হাজার ৯৬৮, স্নাতকোত্তরের ৯৫১ জন ও পিএইচডির ৯ জন অংশ নেন। মোট ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।

এরআগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হেলিকপ্টারযোগে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পৌঁছান। বিকালে কুয়াকাটা সৈকতে সূর্যাস্ত উপভোগের পর তারা পর্যটন মোটেল ইয়ুথ ইন এ রাত্রিযাপন করেন। বুধবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টারযোগে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।