মাছ বিক্রির ঘরে পাঠদান চলছে

নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে স্কুলঘর, এরপর থেকে বাজারে মাছ বিক্রির প্রাচীরহীন টিনশেড ঘরে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ছনের কুড়ে ঘরে কাজ সারছের শিক্ষকরা। জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের ঘটনা এটি।

স্থানীয়রা জানান, ২নং ওয়ার্ডের খোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত বছর যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এরপর থেকে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে ওই টিনশেড ঘরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার পাড়ের ঠান্ডা বাতাসে কেঁপে কেঁপে ক্লাস করছে শিশুরা।

প্রধান শিক্ষক মরিয়ম কাউছার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী ২৪৩ জন। এখন মোট শিক্ষক ৯ জন। প্রাচীরবিহীন ছোট একটি শেড ঘরে একই সঙ্গে সবার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকদের বসার জন্য চেয়ার টেবিল রাখার বিদ্যালয়ের জায়গা পর্যন্ত নেই। আমাদের কোনও শৌচাগার নেই।’

এই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আলী স্কুলের জন্য ১৫ শতাংশ জমি দান করেছেন। তিনি জানান, পাশেই একটি কিন্ডার গার্টেন হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে। এভাবে কোনও সচেতন অভিভাবক তার সন্তানকে নদীর কিনারের স্কুলে পড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। নদী পাশে হওয়ায় সারাক্ষণ বালু উড়ে আসে ক্লাসে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি শুনেছি ১৫ শতাংশ জমি পাওয়া গেছে। যদিও ওই জমিতে বিল্ডিং হবে না। কিন্তু দুর্যোগকালীন সময়ে পাঠদান চালু রাখার জন্য একটি টিন শেড ঘর ওঠানোর জন্য বরাদ্দ হবে।’

অপরদিকে এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়টি আমি পরিদর্শন করেছি। আমি শুনেছি, অতি সম্প্রতি বিদ্যালয়টির নামে জমি পাওয়া গেছে। জমির দলিলপত্র আমাদের হাতে এলে ইমারজেন্সি ফান্ড দিয়ে নতুন ঘর তৈরি করে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা হবে। এ বিষয়ে আমি প্রাথমিক অধিদফতরে কথা বলেছি।’