লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ

নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণনড়াইলে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মৌলবাদ, কুশিক্ষা, পশ্চাদমুখিতা আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে (কুরিরডোব মাঠে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন নড়াইলবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু ভীড় জমায়।নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশ উদযাপনে শুক্রবার সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। একইসঙ্গে ভাষা দিবসের ৬৯ তম বার্ষিকীতে ৬৯টি ফানুষ ওড়ানো হয়। কুড়িরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি এক সঙ্গে জ্বলে ওঠার সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা গেয়ে ওঠেন ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ

শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, একুশের আলো নড়াইলের সভাপতি প্রফেসর মুন্সি হাফিজুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, একুশের আলোর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নড়াইলে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের ব্যতিক্রমী এ আয়োজন ১৯৯৭ সালে সুলতান মঞ্চ চত্বরে প্রথম শুরু হয়।