যশোরের হাসপাতালগুলোতে শিশুদের টিকা সংকট

যশোরের হাসপাতালে টিকা নিচ্ছে একটি শিশুযশোরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশুদের বিভিন্ন রোগের টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যাসিলাস ক্যালমেট গুয়েরিন (বিসিজি), টিটেনাস (টিটি), হাম-রুবেলা (এমআর), রক্তকণিকা তৈরির জন্যে পিসিভি ও পেন্টার টিকা মিলছে না। তবে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, সংকট সমাধানে টিকার চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।

নবজাতক শিশুদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুদের সাতটি টিকা দেওয়া হয়। প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে অভিভাবকরা শিশুদের এ টিকা দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে গর্ভবতী নারীরাও গ্রহণ করেন একটি টিকা। বিশেষ করে, নবজাতক শিশুদের টিটেনাস থেকে বাঁচাতে টিটি, ধনুষ্টঙ্কার, হুপিং কাশি, হেপাটাইটিস-বি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ আটটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পেন্টা, শিশুর রক্তকণিকা গঠনের জন্য পিসিভি, হাম-রুবেলার হাত থেকে রক্ষা করতে এমআর এবং যক্ষ্মা থেকে বাঁচাতে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রের ইনচার্জ শারমিন আফরোজ জানান, গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ সাতটি টিকার মধ্যে পাঁচটি মিলছে না স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে। তারা শুধু ওপিভি এবং আইপিভি (পোলিও) টিকা দিচ্ছেন এবং বাকি টিকা পরে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এজন্য প্রতিদিন শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন মায়েরা।

এদিকে, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘সংকট সমাধানে টিকার চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দুই বছরের মধ্যে শিশুদের এ টিকাগুলো দেওয়া যায়। তাই তেমন কোনও সমস্যা নেই।’

প্রসঙ্গত, যশোর জেলায় এ বছর ৬২ হাজার ৪৭৭ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর ২০ ডোজের ৭ হাজার ৯৯ ভায়েল বিসিজি, সিঙ্গেল ডোজের ৪৯ হাজার ২০১ ভায়েল পেন্টা, ৪ ডোজের ১৩ হাজার ৩ ভায়েল পিসিভি, ১০ ডোজের ৭ হাজার ৮১০ ভায়েল এমআর এবং ১০ ডোজের ৬ হাজার ৮০৬ ভায়েল টিটি টিকার প্রয়োজন হয়।