চুলার গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

বার্ন ইউনিট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় চুলার গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ আট সদস্যের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আবুল বাশার ইমন (২৮)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেকের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, আগুনের ঘটনায় মা নূরজাহান বেগম (৭০) ছেলে কিরণ (৫৫) নাতি আবুল বাশার ইমনসহ (২৮) মোট তিন জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও পাঁচ জন।

2d4de56fb38219223053a314647e1edf-5e4a9389a25acমারা যাওয়াদের স্বজন মোস্তফা খান আবুল বাসার ইমনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, সাইনবোর্ড এলাকার সাহেব পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের বাড়ির পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন নূরজাহান বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। গ্যাসের চুলার চাবি চালু রেখে রাতে ঘুমিয়ে পড়ায় গ্যাস পুরো বাাসয় ছড়িয়ে যায়। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়ে দগ্ধ হন নূরজাহান বেগম। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন দুই ছেলে মেয়ে নাতিসহ একই পরিবারের আট সদস্য। এ ঘটনায় তিন জন মারা গেছেন। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছেলে হিরন মিয়া, তার স্ত্রী মুক্তা, মেয়ে শিশু ইলমা, কিরণ মিয়ার ছোট ছেলে আপনসহ আরও একজন।

তিনি আরও জানান, দুপুরে ইমনের লাশ সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় নিয়ে আসা হয়। বিকালে সাহেব পাড়া এলাকার কবরস্থানে নিহত ইমনের পিতা কিরণ মিয়া ও দাদি নূরজাহানের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
গ্যাসের চাপ বুঝতে চুলা চালু রাখাই হলো কাল!