উপজেলা প্রশাসন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে আগুনে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে জামাল মুন্সির দাবি, বাজারে যখন আগুন লাগে, তখন বিদ্যুৎ ছিল না। শত্রুতাবশত কেউ বাজারে আগুন লাগিয়েছে। নিজের মুদি দোকানের সব মালামাল পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রত্যেক ব্যবসায়ী এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আগুনে বাজারটি একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, বাজারের অর্ধেকের বেশি দোকান পুড়ে গেছে। দোকান ঘর, সমস্ত মালামাল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে সরকারি সহায়তার জন্য উপজেলায় পাঠানো হবে।
শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. মেশফাকুল আলম জানান, ভোর চারটার দিকে আগুনের খবর পান। ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে তা দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ২০ জন ফায়ারকর্মী স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএিনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটির কম হবে না। উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া দ্রুত ব্যবসায়ীদের তালিকা জেলা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।