বিএসএফের বাধায় বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধকাস্টমস পারমিট পাস নিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্টরা পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। এ কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফদের কাগজপত্র নিয়ে কাউকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়নি। ফলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি-রফতানি চালু করতে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ‘দুপুরে মালামাল রফতানির জন্য কাগজপত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ বিএসএফের বাধার মুখে পড়ে আমাদের সদস্যরা। বিএসএফের বাধায় কোনও স্টাফই ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। এ কারণে মুহূর্তের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। দুই দেশের বন্দর এলাকায় হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে, যার মধ্যে অধিকাংশেই রয়েছে পচনশীল দ্রব্য।’
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, 'আগে তো একই কাগজ নিয়ে এজেন্টরা ভারতে প্রবেশ করতে পারতো। তবে কী কারণে বিএসএফ আমাদের স্টাফদের ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তা এখনও জানা যায়নি।'

বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব শাখার সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, ‘সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা যাতে তাড়াতাড়ি ভারতে প্রবেশ করতে পারেন সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরের কারণে সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারির ফলে বাংলাদেশ থেকে কোনও সিএন্ডএফ কর্মচারীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’

বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার শহিদুল ইসলাম জানান, পেট্রাপোল বিএসএফ ক্যাম্প থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মানুযায়ী এখন থেকে পাসপোর্ট ছাড়া কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন না। ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশি সিএন্ডএফ কর্মচারীরা ভারতে যেতে চাইলে তাদের প্রত্যেকের পাসপোর্টের মাধ্যমে যেতে হবে।