মিয়ানমার থেকে একদিনে এলো ১৮শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ




মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ (ছবি সংগৃহীত)কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে একদিনে ১৮০০ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে, যা চলতি বছরের রেকর্ড। তবে গত বছরের ৭ নভেম্বর ১৮১৬ দশমিক ৪২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছিল। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ট্রলারে আসা এসব পেঁয়াজ খালাস শেষে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একদিনে শতাধিকের বেশি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক স্থলবন্দর থেকে বের হয়ে গেছে। এসব ট্রাকে ১৮শ’ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ রয়েছে। দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীদের মিয়ানমার থেকে আরও বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ ট্রলার থেকে দ্রুত সময়ে খালাস ও সরবরাহেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার মিয়ানমার থেকে আসা ১৮০০ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ ১১ ব্যবসায়ী আমদানি করেন। তারা হলেন, মোহাম্মদ হাসেম, যদু চন্দ্র দাস, মো. সেলিম, মো. কামরুল, মো. এহেতাশামুল হক বাহাদুর, মো. নাছির, মো. সজিব, আবদু শুক্কুর, মহেসিং, শওকত আলম, আবদুল জব্বার।

স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারির ২২ দিনে ২৬ হাজার ২১১ দশমিক ২৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছিল। এর আগের মাসে খালাস হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন এবং গত বছরের ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্টে মাত্র ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আগামী রমজানকে সামনে রেখে পেয়াঁজের আমদানি আরও বাড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’