প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

পিরোজপুরপিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সিদ্দিকুর রহমান খলিফাকে (৬০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (২ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শংকরপাশ ইউনিয়নের দক্ষিণ শংকরপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলামিন মাতুব্বর নটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য মো. আলামিন মাতুব্বর নটু জানান, ছিদ্দিকুর রহমান খলিফা সকালে পিরোজপুর শহরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে প্রায় ৫শ’ গজ দূরে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাকে গুলিও করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কাওসার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। কাওসার এর আগে তাকে মারধর করেছে।’

পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আহসানুল কবীর বাদল জানান, সিদ্দিকুর রহমান অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেনের সহকারী (মুহুরি) হিসেবে কাজ করতেন।

নিহতের বেয়াই শহিদুল ইসলাম খলিফা জানান, ‘সিদ্দিকুর রহমান খলিফা সকালে তার কর্মস্থল জেলা জজ আদালতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিছু দূরে যাওয়ার পরই পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।’

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফ হাসান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সিদ্দিকুর রহমান খলিফা মারা যান।

নিহতের ছেলে পুলিশে সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গেল বছরের রমজান মাসে একই এলাকার ঝাউতলা স্কুল এলাকায় বসে কাওসার আমার বাবাকে মারধর করেছে। বিষয়টি আমি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে জানিয়েছি। আজ আবার তার (কাওসারের) নেতৃত্বে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল জানান, সিদ্দিকুর রহমানের বাম পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে শটগানের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ‘পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তদন্তের পরে বিস্তারিত বলা যাবে।  এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’