নবীনগরে সেবা গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টার মালিক মো. লিটন বলেন, ‘বাসটি রাজধানীর গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জে যাতায়াত করে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় নবীনগর কাউন্টার থেকে ১৯ জনসহ মোট ৪০ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে বাসটি ছেড়ে যায়। পরে আরিচা এলাকায় ফেরি পারাপারের পর নবীনগর থেকে ওঠা এইচ-১ আসনের এক যাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের জানায় বাসটির স্টাফরা। পরে গোপালগঞ্জের নাজিরপুর পৌঁছালে বাসের বক্সে ওই যাত্রীর রেখে যাওয়া একটি কালো রঙের স্যুটকেস পাওয়া যায়। স্যুটকেসটির মালিক না পেয়ে আবারও একই বাসে ঢাকার উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
এদিকে ওই স্যুটকেস থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। শনিবার রাতে গাবতলী থেকে বাসটি চালক লালু মিয়া, সুপারভাইজার সবুজ শেখ ও হেলপার নয়নকে দিয়ে নবীনগরে পাঠানো হয়। এরপর আশুলিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআই কর্মকর্তারা স্যুটকেস খুলে এক তরুণীর লাশ বের করে আনেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মুন্সি বলেন, ‘রাতে নবীনগর এলাকায় বাসটির বক্স খুলতেই উটকো গন্ধ বের হতে থাকে। পরে পিবিআই ও পুলিশের উপস্থিতিতে কালো রঙের স্যুটকেসটি খোলা হলে এক তরুণীর রক্তাক্ত অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফজলুল হক জানান, ওই তরুণীকে হত্যার পর লাশ স্যুটকেসে ভরে যাত্রীবেশে কৌশলে বাসের বক্সে রেখে গেছে হত্যাকারী। তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৪ বছর হবে। তবে কীভাবে এবং কেন ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।