চায়ের দোকানসহ বিকল্প জায়গাগুলোতে গণজমায়েত করে আড্ডা চলছে

রাজশাহীরাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকায় শনিবার (২১ মার্চ) একটি চায়ের দোকানে বসে গণজমায়েত করে কয়েকজন যুবক আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের আড্ডার বিষয়ও করোনা ভাইরাস। কিন্তু তারা মানছেন না সরকারি নির্দেশনা। রুহুল আমিন নামের এক যুবক বলেন, ‘বাড়িতে সময় কাটছে না। তাই কয়েকজন বন্ধু অলস সময়ে এসে আড্ডা দিচ্ছি। অসুবিধা হবে না, আমরা এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছি। দেখেন না মুখে অনেকের মাস্ক রয়েছে।’ এভাবেই নগরীর বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকানে আড্ডায় দৃশ্য লক্ষ করা গেছে।

চায়ের দোকানসহ বিকল্প জায়গাগুলোতে গণজমায়েত না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু  নগরীর বিভিন্ন চায়ের দোকানের সামনে গণজমায়েত করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আড্ডা বন্ধ হয়নি।

এদিকে চায়ের দোকানিরা বলেন, ‘অল্প পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা করি। এখন যদি বন্ধ রাখি। তাহলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বাধ্য হয়ে দোকান খোলা রাখতে হয়।’

এ ব্যাপারে শনিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেছেন, ‘সবাইকে বুঝাতে হবে, গ্রামের চৌকিদার, দফাদার ও বিভিন্ন এনজিকে কাজে লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যেক অফিসের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার টেবিল রাখতে হবে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। সেলুনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

জেলা প্রশাসক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত, সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ গণজমায়েত হয় এমন অনুষ্ঠান আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ হলো গত ১৫ দিনে বিদেশফেরত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা। যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে না চায় তাহলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আনা হবে।’

গণজমায়েত এড়িয়ে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বর্তমানে কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুত করছেন। তাদের অতিরিক্ত পণ্য না কেনার বিষয়ে বোঝাতে হবে।’ দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে বলে তিনি জানান।