তবে সোমবার (২৩ মার্চ) সিভিল সার্জন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা ওই নারীর দেশে ফেরত আসার তারিখ দেখেছি। এছাড়া তার আরও বিভিন্ন ধরনের রোগের তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমরা স্বাস্থ্যবিভাগের পুরো টিম অনেক পর্যালোচনা করেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও প্রমাণ পাইনি।
তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে ওই প্রবাসী নারীর বাসাসহ আশপাশের পাঁচটি বাসার মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
ওই নারীর বাড়ি সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চৌধুরী বলেন, ওই নারী রবিবার (২২ মার্চ) দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে মৌলভীবাজার-২৫০শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সোমবার সদর উপজেলার গিয়াসনগর এলাকায় নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার পাশের কবরস্থানে ওই নারীকে দাফন করা হয়।
এদিকে মারা যাওয়া নারী গত ১১ জানুয়ারি দেশে ফেরেন বলে জানান মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ।
প্রসঙ্গত, বিদেশফেরত ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় করোনা সন্দেহে সোমবার মৌলভীবাজার শহরের কাশীনাথ সড়কের পাঁচটি ভবনের বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থায় রাখা হয়।
এদিকে জেলায় সম্প্রতি প্রচুর প্রবাসী আসায় করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি প্রবাসীদের সঠিকভাবে মনিটরিং করলে ও তাদের হোম কোয়ারেন্টিন করা হলে সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে প্রবাসী নারীর মৃত্যু, চিকিৎসক-নার্স ও স্বজন-প্রতিবেশী কোয়ারেন্টিনে