নীলফামারীর চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৬০টি পিপিই!

নীলফামারীকরোনাভাইরাস মোকাবিলায় নীলফামারীর ছয় উপজেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় মাত্র ৬০টি পিপিই (পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট) পেয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। যা সদর হাসপাতালসহ সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে তারা পেয়েছেন পাঁচশ গ্লাভস, একশত মাস্ক ও দুইশ হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তবে গগলস পাওয়া যায়নি। সিভিল সার্জন জানান, চার হাজার গ্লাভস, দুই হাজার মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাঁচশ ও ১০০০ গগলসের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবু শফি মাহমুদ বলেন, ‘হাসপাতালগুলো প্রায় রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে। পিপিই সংকটের কারণে সংক্রমণের ভয়ে সাধারণ রোগীরাও হাসপাতালে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। তবে জরুরি কিছু সিজারিয়ান অপারেশন চালু আছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে (পিপিই) দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।  এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় তালিকা পাঠানো হয়েছে।’

সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ জানান, জেলার ছয় উপজেলার মোট বিদেশফেরতের সংখ্যা ৩৩০ জন।  এর মধ্যে ২২৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। ইতোমধ্যে ১০৫ জনের হোম কোয়ারেন্টিনের ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।  গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা সবাই বিদেশফেরত।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পারসোনাল প্রটেকশন ইকুপমেন্ট (পিপিই) প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় চিকিৎসকরা সেবা দিতে ইতস্তত বোধ করছেন।