বিক্ষোভ করতে আসা চা শ্রমিক কৈলাশ মুন্ডা জানান, ‘করোনাভাইরাসে মরার আগে আমরা না খেয়েই মরে যাবো। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি।’
কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল জানান, ‘এখন পর্যন্ত চা শ্রমিকদের কোনও ছুটি দেওয়া হয়নি। আমরা নিজ উদ্যোগে কয়েকটি বাগানের শ্রমিকদের কাজ থেকে বিরত রাখছি। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও চা শ্রমিকদের জন্য সরকারি কোনও খাদ্য ব্যবস্থা করতে পারিনি। তবে আজ শ্রমিকরা খাদ্যের জন্য বিক্ষোভ করেছি আমি বিষয়টি শুনেছি।’
চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার দেবাশীষ দাশ জানান, ‘চা শ্রমিকদের ছুটির বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। আমরা চা শ্রমিকদের কোনও ধরনের চাপ প্রয়োগ করিনি।’ সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার পর্যন্ত বাগানের কোনও শ্রমিক প্রশাসনের সহযোগিতা পাননি।’
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের লস্কর বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে সবাইকে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। চা শ্রমিকরা আমার কাছে আসেনি। তবে সবাইকেই দেওয়া হবে।’