করোনায় মারা যাননি শেরপুরের আওয়াল: আইইডিসিআর

শেরপুরশেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া আব্দুল আওয়াল (৫৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে এলাকায় লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল আওয়াল গত রবিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিজ বাড়িতে মারা যান। তার মুত্যুর পর এলাকায় করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠান। এছাড়াও আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে সংক্রামক ব্যাধি আইন অনুযায়ী দাফন করে স্থানীয় প্রশাসন।

আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরির ১০২৮ নং আইডিতে তার সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অর্থাৎ আব্দুল আওয়াল করোনাভাইরাসে নয়, জ্বর শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, ‘বুধবার (১ এপ্রিল) আইইডিসিআর থেকে পাঠানো আমরা তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই ওই গ্রামের দশ বাড়ির লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে মৃত আব্দুল আওয়াল আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। মারা যাওয়ার চার-পাঁচ দিন আগে ছুটি পেয়ে বাড়িতে এলে তার অসুখ আরও বেড়ে গিয়েছিল। তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় একটি পাইলিং কনস্ট্রাকশনে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।