সিভিল সার্জন জানান, জেলার গাংনীর ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব এলাকায় ওই রোগীর বাড়ির পাশের ১০টি বাড়ি প্রশাসনিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার পর জানা যাবে তিনি কোনও রোগে আক্রান্ত কিনা।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, ‘ওই পরিবারের লোকজনকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ভোগ্যপণ্যসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা হবে। আইইডিসিআরে পাঠানো নমুনার প্রতিবেদন দু-একদিনের মধ্যে চলে আসবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওই রোগীর ছেলে জানান, বর্তমানের তার বাবা কিছুটা সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে শ্বাসকষ্ট ও সর্দিজ্বর নিয়ে মধ্যবয়সী ওই পুরুষ রোগী গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করে বলে অভিযোগ পরিবারের। তারা জানান, অনেক চেষ্টা-তদবির করার পর তাকে ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ। ভর্তির পর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল আলম চিকিৎসা সেবা দিতে এগিয়ে আসেনি। পরে সিভিল সার্জনের নির্দেশে রাত সাড়ে ১২টায় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর অন্য রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানান কয়েকজন অন্য রোগীর স্বজন।