সাতক্ষীরায় জ্বর-শ্বাসকষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) ভোরে বন্দকাটি গ্রামে বাবার বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বন্দকাটি ও তার আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে মরদেহ থেকে করোনা শনাক্তে কোনও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়বুর রহমান।

মৃত্যুর বিষয়ে বিষ্ণুপর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দকাটি গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রাশিদা খাতুন শিল্পী (২৫) গত ২৭ মার্চ শুক্রবার স্বামী সিরাজুল ইসলামের বাড়ি (পাশের ফতেপুর গ্রামে) থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। গৃহবধূ শিল্পী দুই সন্তানের জননী। কয়েকদিন ধরে সে জ্বরে ভুগছিল। এছাড়া তার শ্বাসকষ্ট ও কাশিও চিল। এ অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়ভাবে শিল্পীকে চিকিৎসা দেওয়া গ্রাম্য চিকিৎসক রুহুল আমিন বলেন, গৃহবধূ শিল্পীর ১০৩ ডিগ্রির মতো জ্বর ছিল, সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্ট ও কাশি। আমি তাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলাম।

এদিকে করোনা শনাক্তের জন্য কোনও ধরনের নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই শিল্পীর লাশ দাফন করা হয়েছে। বিষ্ণুপর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হলেও গৃহবধূর লাশ দাফনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ মানুষ ও আত্মীয় স্বজনদের দূর থেকে মরদেহ দেখানো হয়েছে। তবে মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। এ ঘটনায় শিল্পীর বাবার বাড়ি বা ওই এলাকা কোয়ারেন্টিন করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক রাসেল বলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি।

করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়বুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এটি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বলে মনে হয়নি।