মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হয়েও তারা এলাকায় নেই। অথচ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের লোকজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই তিন চেয়ারম্যানের এলাকায় না থাকা এবং কোনও ভূমিকা না নেওয়ায় তাদের শোকজ করা হয়েছে। ওই তিন চেয়ারম্যান হলেন- আকুবপুর ইউপির বাবুল আহম্মেদ মোল্লা, রামচন্দ্রপুর উত্তরের সফু মিয়া সরকার ও বাবুটিপাড়ার জাকির হোসেন মুন্সী।’ মুরাদনগর উপজেলার ২২ ইউনিয়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় ওই তিন ইউপি চেয়ারম্যানকে এলাকায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বিষয়টি গত ৩০ মার্চ জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করেন।
আকুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ মোল্লা বলেন, ‘আমার হার্টের সমস্যার কারণে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাই। পরে লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ি।’
রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সফু মিয়া সরকার জানান, তিনিও অসুস্থতার কারণে ঢাকায় রয়েছেন।
বাবুটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকির হোসেন মুন্সী বলেন, ‘এতদিন ঢাকায় ছিলাম। শোকজ পেয়ে এলাকায় আসি।’
এদিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান দেশের দুর্যোগ মুহূর্তে এলাকায় না থাকার কারণে করোনাভাইরাস সংক্রামণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং সরকারি বরাদ্দের খাদ্যসামগ্রী গরিব, অসহায় ও শ্রমজীবীদের মধ্যে বিতরণ প্রশাসনের কর্মকর্তা হিমশিম খেতে হচ্ছে। সাধারণ জনগণ তাদের জনপ্রতিনিধিকে এই সংকট সময়ে কাছে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকারে বিভাগ থেকে ২০ দিনের ছুটি নিয়ে ব্যবসায়ীক কাজে সৌদি আরবে গিয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে একদেশ থেকে অন্যদেশে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সৌদি আরবে আটকা পড়েছেন।
এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, ‘মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ছুটি নিয়ে হয়তো বিদেশে গিয়েছেন। তারপরও কেন তিনি এই দুর্যোগ মুহূর্তে এলাকায় নেই সেই বিষয়ে খোঁজ নেবো।’