আইসোলেশন থেকে চলে গেছেন নারী, ধুনটে তিন বাড়ি লকডাউন

বগুড়া

কাশি ও জ্বরের কারণে একজন নারীকে (৩২) বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছিল। তবে তিনি ভর্তি না হয়ে চলে গেছেন। এদিকে সেখানে চিকিৎসাধীন চার জন ও মৃত একজনের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হলেও শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বগুড়ার আইসোলেশন ইউনিটে পৌঁছেনি। রিপোর্ট আসার আগেই চলেও গেছেন একজন রোগী। এদিকে পৃথক ঘটনায় ধুনটে একজন মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। 

বগুড়া আইসোলেশন ইউনিটের সূত্র জানায়, ২৯ মার্চ এই ইউনিট চালু হওয়ার পর গত কয়েকদিনে কাহালুর একজন, ধুনটের একজন, রংপুরের একজন, গাবতলীর এক শিশু ও শহরের নাটাইপাড়ার এক তরুণী ভর্তি হন। এদের মধ্যে ১ মার্চে পায়ে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে গাবতলীর শিশু সিয়াম (১৩) মারা যায়। রাতে গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের দড়ি সোনাকানিয়া গ্রামে বিশেষ ব্যবস্থায় জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের তিন বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। জীবিত ও মৃত পাঁচ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত রামেক হাসপাতাল ল্যাব থেকে রিপোর্ট আসেনি।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সদরের শাজাহানপুরের এক নারী (৩২) কাশি ও জ্বর নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে আসেন। ওই নারী ভর্তি না হয়ে রাত আড়াইটার দিকে অন্যত্র চলে যান।

এদিকে রিপোর্ট না এলেও আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ধুনটের নিমগাছী ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের একজনের (৪৬) বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।