ভাতের কষ্টের মধ্যেই পুড়লো ঘর

জামাল উদ্দিনের পুড়ে যাওয়া ঘরকরোনা পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজ নেই, ছিল ভাতের কষ্ট। আর এর মধ্যেই আগুনে পুড়েছে ঘর, আসবাবপত্রসহ যাবতীয় জিনিস। উপার্জনের বাহন রিকশাভ্যানটিও পুড়ে গেছে।

শনিবার ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের বারঘড়ি গ্রামে। আগুনে পুড়ে সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়েছে ওই পরিবারটি।পুড়ে গেছে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন রিকশাভ্যানটিও

জানা যায়, নশরতপুর গ্রামের বারঘড়ি পাড়ার বাসিন্দা ভ্যানচালক জামাল উদ্দিনের গোয়াল ঘরে শুক্রবার রাতে মশার কয়েল দেওয়া হয়। সেই কয়েল থেকেই ভোররাতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনে পুড়ে যায় ঘর, গোয়াল ঘরসহ উপার্জনের বাহন রিকশা-ভ্যানসহ দুটি গরু ও আসবাবপত্র।জামাল উদ্দিনের পুড়ে যাওয়া ঘর

জামাল উদ্দিনের স্ত্রী লায়লা বেগম জানান, ‘অনেকদিন থেকেই আয় রোজগার বন্ধ। আমার স্বামী ভ্যান চালাতে পারছিলেন না। খাবারের টাকাই জুটে না। এবার রোজগার করার একমাত্র উপায় ভ্যানটিও পুড়ে গেছে। সাহায্যের যেটুকু চাল ছিল সেটুকুও পুড়েছে। খাবারের সঙ্গে মাথাগোঁজার ঠাঁইটিও হারিয়ে গেছে। মানুষের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া ছেলেমেয়ে নিয়ে বেঁচে তাকার আর উপায় নেই।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা করোনার পরিস্থিতি শেষ না পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সরকারের পাশাপাশি অন্যদেও দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।