১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

ক্রেতারা ভিড় করে ১০ টাকা কেজির চাল কিনছেনসারাদেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি। রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরীর সাতটি পয়েন্টে ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে খোলা বাজারে এ চাল বিক্রি শুরু করে খাদ্য বিভাগ। এ সময় সামাজিক দূরত্ব না মেনে ক্রেতাদের ঘেঁষাঘেঁষি করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে দেখা গেছে। স্বল্পমূল্যে চাল পেয়ে সাধারণ মানুষ খুশি হলেও ডিলারদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন তারা। তবে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি, জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করার হচ্ছে এবং কোনও অনিয়ম হচ্ছে না।

নগরীর কেডিসি, কাউনিয়া বিসিক, রূপাতলী হাউজিং, আমতলা মোড়, বিআইপি গেট ও জুমির খান সড়কের সাতটি পয়েন্টে ট্রাকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য বিভাগ। প্রতিটি পয়েন্টে সাধারণ ক্রেতাদের অনেক ভিড় দেখা গেছে। তবে লাইন ভঙ্গ করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরিচিত ক্রেতাদের কাছে ১০ থেকে ১৫ কেজি চাল বিক্রি করার অভিযোগ করেন সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে বরিশাল খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক জামাল হোসেন জানান, ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন হওয়ায় অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিলারদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও ক্রেতারা শুনছেন না। তবে চাল বিক্রিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কথা অস্বীকার করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, ‘সাতটি পয়েন্টের প্রতিটিতে ট্রাকে করে প্রতিদিন ২ টন করে মোট ১৪ টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে বরিশাল নগরীতে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন খাদ্য বিভাগের স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। খাদ্য বিভাগ ছাড়াও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি নগরীর ১১টি পয়েন্টে এবং বিভাগের আরও ১১টি পয়েন্টে প্রতিদিন ন্যায্য মূল্যে চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও মসুরের ডাল বিক্রি করছে।’

অপরদিকে জেলা প্রশাসন পরিচালিত দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি এবং টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করেন। ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।