উল্লেখ্য, ‘লে-অফ’ বলতে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ থাকার দরুন সাধারণভাবে কাজ হতে অব্যাহতি বুঝায়। একে নির্দিষ্ট কারণে কাজ বন্ধ বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২ (৫৮) তে লে-অফ বলতে কয়লা, বিদ্যুৎ, গ্যাস অথবা কাঁচামালের ঘাটতি অথবা মালপত্র জমা হয়ে যাওয়া কিংবা কলকব্জা বিকল হয়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কোনও শ্রমিককে কাজ দিতে ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অপারগতাকে বোঝানো হয়।
শ্রমিকরা আরও জনান, কারও তিন, কারও চার মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় লে-অফ এর ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। দ্রুত পাওনা পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা আরও জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর মাঝেই কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণা করেছে।
কোতোয়ালি পুলিশের ওসি নূরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা ফিরে যান। তবে মালিকপক্ষের কেউ কারখানায় আসেননি।