সকালে আটক ১, রাতে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

বন্দুকযুদ্ধকক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দুই 'মাদক ব্যবসায়ী' নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার (৫ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলো টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৬) ও হোয়াইক্যং ঝিমমংখালীর জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২৪)।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাইক্রোবাসচালক মাহমুদ উল্লাহকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে রাত ১টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের জিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মজুত রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন পুলিশও অত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। অভিযানে মোট ১৫ হাজার ইয়াবা, দুটি এলজি, গুলি, খালি খোসা ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে পুলিশ।

ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, অভিযানের সময় গোলাগুলিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তবে অভিযান শেষে থানায় ফেরার সময় পৌরসভা এলাকার হোটেল হিলটপ সংলগ্ন মেইন রোডে ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে ইয়াবা বহন করা মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, 'পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুজনকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'