ঢাকায় করোনাতে মায়ের মৃত্যু, কুমিল্লায় দুই ছেলের বাড়ি লকডাউন

লকডাউন করা হচ্ছে একটি বাড়ি। ঢাকায় করোনাভাইরাসে এক ব্যবসায়ীর মায়ের মৃত্যুর পর সংক্রমণ আশঙ্কায় কুমিল্লায় দুই ছেলের ২টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাড়ি দুটি বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে জিয়াপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই মো. সেলিমের (দু’জনেই মৃতের সন্তান) ২টি বাড়ি লকডাউন করেন।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান জানান, এর আগে গত রবিবার রাত ১১টার দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার মা সাহেদা খাতুনের (৬৫) মৃত্যু হয়। পরে সোমবার মোস্তফা পরিবার নিয়ে বুড়িচংয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা পরিবার নিয়ে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। মায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে গত রবিবার প্রথমে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল, পরে একই দিন রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ১১টার দিকে সাহেদা খাতুনের মৃত্যু হয়। মৃতের শরীর থেকে আলামত পরীক্ষার পর ফলাফল পজেটিভ এসেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই গ্রামে এসে ঢাকা থেকে আসা ওই ব্যবসায়ীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের শরীরের আলামত সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করি। বুধবার তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের শরীরের আলামত সংগ্রহ করা হবে। পরে ওই ব্যবসায়ী ও তার ভাইয়ের দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।’

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন, এসআই এনামুল হক ও স্থানীয় ইউপি লালন হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম জানান, ‘যত দিন ওই ২টি বাড়ি লকডাউন থাকবে, ততদিন থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।’