করোনার উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু, নমুনা সংগ্রহে দেরির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে এক যুবকের (৩৮) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টায় তিনি মারা যান। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন ও সিভিল সার্জন অফিসকে নমুনা সংগ্রহ এবং লাশ দাফনের জন্য বারবার জানানোর পরও কেউ আসেনি। পরে সকাল ১১টার দিকে ওই বাড়িতে যায় সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল টিম। এদিকে, দুপুর ২টায় নমুনা সংগ্রহের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদ।

নিহত হিরু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ এলাকায় বাসিন্দা।  তিনি গিটারিস্ট ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু হলে ভয়ে কেউ লাশের সামনে যায়নি। পরে সিভিল সার্জন অফিসে খবর দেওয়া হলে তারাও আসতে দেরি করলে সিটি করপোরেশনকে জানালে তারা এসে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ বারো ঘণ্টা পর লাশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে লাশের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা আলী বলেন, ‘নগরীর পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক যুবক মারা গেছে খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল টিম লাশ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করে। আমাদের সবকিছু গুছিয়ে আসতে একটু দেরি হয়েছে। পরে দুপুর ২টার পর সিভিল সার্জনের টিম শহরের পাইকপাড় কবরস্থানে ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করতে যায়।’

নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গত ১০ দিন করোনার উপসর্গ ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগলেও কোথাও চিকিৎসা নিতে পারেনি ওই যুবক। তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোথাও ভর্তি করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াহ আহমেদ বলেন, ‘এমন খবর পেয়েছি। দুপুরে আমাদের টিম গেছে নমুনা সংগ্রহ করতে।’ দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় লাশের নমুনা সংগ্রহ কতটুকু কার্যকর হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এমন উপসর্গে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নেই। তার পরও আমরা লোক পাঠিয়েছি।’