কোটালীপাড়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে অর্ধশতাধিক বাড়ি লকডাউন

Gopalganj Corona Lockdown Photo-01 (07.04.2020)বাড়ির আসা যাওয়া পথের সমানে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া। তাতে একটি সাইবোর্ড ও একটি লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাইনবোর্ডটিতে লেখা রয়েছে, ‘বাড়ি লকডাউন, দয়া করে কেউ আসা যাওয়া করবেন না। সৌজন্যে ভিপি লিটন শেখ।’

আর এমনই বাঁশের ব্যারিকেড ও সাইনবোর্ড রয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়িতে। প্রশাসন এখনও গোপালগঞ্জ লকডাউন না করলেও কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াশি গ্রামে করোনাভাইরাস আতঙ্কে ব্যক্তি উদ্যোগেই নিজেদের অর্ধশতাধিক বাড়ি লকডাউন করেছে।

করোনাভাইরাস রোধে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার, মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে নানাভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এতে সেনা বাহিনীও সহযোগিতা করছে।

তবে প্রশাসন এখনও লকডাউন করেনি। তাই সাধারণ মানুষের চলাচল অব্যাহৎ রয়েছে। তাই করোনা রোধে নিজেদের উদ্যোগে বাড়ি লকডাউন করা হয়।

যুবলীগ নেতা কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি লিটন শেখের নেতৃত্বে এসব বাড়ি লকডাউন করা হয়। নিজ উদ্যোগে বাড়ি লকডাউন করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নিজেদের উদ্যোগেই এলাকা লকডাউন করার কথা ভাবছেন।

লকডাউন হওয়া পরিবারের সদস্য ইস্রাফিল শেখ বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। সবখানেই আবাধে ঘোরাফেরা চলছে।যে কারো মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেজন্য আমার বাড়ি আমি নিজে লকডাউন করে দিয়েছি।’

একই গ্রামের সাগর শেখ বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই লিটন শেখের সাথে একাত্মতা জানিয়ে আমার বাড়ি লকডাউন করেছি।’

Gopalganj Corona Lockdown Photo-02 (07.04.2020)স্থানীয় বাসিন্দা জামাল শেখ ও ওহাব শেখ বলেন, ‘যেভাবে গ্রামের লোকজন বাইরে ঘোরাফেরা করছে তাতে প্রশাসনের উচিত ছিল লকডাউন ঘোষণা করা। কিন্তু প্রশাসন তা না করায় নিজ উদ্যোগে আমার বাড়ি লকডাউন করেছি। নিজ পরিবারের সদস্যসহ আমার বাড়িতে সবাইকে আসা যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছি।

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি লিটন শেখ বলেন, করোনাভাইরাসে আমরা সবাই আতঙ্কিত হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে কোনও প্রভাব পরেনি। এতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছি। যে কারণে আমাদের এলাকার তিনটি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়ে অর্ধশতাধিক বাড়ি লকডাউন করার কাজ করেছি এবং যাতায়াত নিষেধ করেছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও এলাকা লকডাউন করার পরিকল্পনা নেই। তবে তারা এটা নিজেদের উদ্যোগে করেছেন। এ বিষয়টি আমাদের এখনও জানায়নি। মানুষ যাতে ঘরে থাকে সে বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে।