উদ্ধার হয়নি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৮৮ বস্তা চাল

১০ টাকা দরের চালবগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে আত্মসাৎ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৮৮ বস্তা চাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত গত সোমবার সকালে উপজেলার কুতুবপুর বাজার থেকে ডিলার, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউল হক গাজীকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ২১২ বস্তা চাল সিলগালা ও তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউল হক গাজীকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ইউনিয়ন ডিলার করা হয়। তিনি দুস্থদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির জন্য ৫০০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। তিনি দুস্থদের চাল না দিয়ে তাদের হাতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে বিদায় করছিলেন। এমন অভিযোগ পাবার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার সকালে খাদ্য কর্মকর্তা, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ নিয়ে কুতুবপুর বাজারে যান। সেখানে গিয়ে ২১২ বস্তা চাল উদ্ধার করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিলার গাজীকে প্রশ্ন করলে তিনি ২৮৮ জনের কাছে চাল বিক্রির মাস্টার রোল দেখান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্যদের নিয়ে ওইসব গ্রামে যান। মাস্টাররোলে নাম থাকা ব্যক্তিরা চাল পাবার কথা অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, ডিলার গাজী তার অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২১২ বস্তা চাল সিলগালা ও তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কালোবাজারে বিক্রি ওই ২৮৮ বস্তা চাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি।

এ প্রসঙ্গে সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদারা মান্নান শিল্পী জানান, দেশের এ ক্রান্তিকালে সংগঠনের কোনও নেতাকর্মীর এমন ন্যাক্কারজনক কাজ মেনে নেওয়া যায়না। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হবে।