তাবলিগ থেকে ফেরা ৪২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

IMG20200408125035

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কক্সবাজারের টেকনাফে তাবলিগ থেকে ফিরে আসা ৪২ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা হয়েছে। তারা বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লায় তাবলিগ জামাত শেষ করে চলতি মাসের শুরু দিকে এলাকায় (টেকনাফে) ফিরে আসেন।  এর মধ্যে তিন জনের করোনা পরীক্ষা করতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  

বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি যৌথ টহল দল অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ নিশ্চিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে. তৌকির আহমেদ ও থানা পুলিশের এসআই মো. নাজিম, এএসআই অহিদ উল্লাহ প্রমুখ।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, গত কয়েকদিনে তাবলিগ জামাত শেষে অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ এলাকায় ফিরেছেন। তাদের তালিকা তৈরি করে বুধবার সকাল প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, নৌবাহিনী ও পুলিশের এক দল টেকনাফের ১০টি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সম্প্রতি সময়ে তাবলিগ শেষে ফিরে আসা ৪২ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। পাশপাশি এলাকায় করোনা বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন প্রচারপত্র বিলি চালিয়ে যাচ্ছে টহল দলটি।

আরও জানানো হয়, ৪২ জন হোম কোয়ারেন্টিনের মধ্যে সাবরাং ইউনিয়নের ৩৩ জন। বাকিরা টেকনাফ সদর ও পৌরসভার বাসিন্দা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেখান থেক তাবলিগ জামাত শেষে আসা ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তবে একটা দিক ভাল, সেটি হচ্ছে তাদের অবস্থা ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি একদিনে ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের করোনা টেস্ট ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১১ জনের নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রির্পোট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর বলেন, ‘তাবলিগ ফেরত ৪২ জনকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।'