নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘নবীনগর খাদ্যগুদাম থেকে নদীপথে দুইটি নৌকায় করে পাঁচশ’ ২৮ বস্তা চাল বীরগাঁও গ্রামে যাচ্ছিল। এর মধ্যে একটি নৌকায় একশ’ ২৮ বস্তা ও আরেকটিতে চারশ’ বস্তা চাল নেওয়া হয়। চারশ’ বস্তা চালবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চালের বস্তাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, চারশ’ বস্তায় ৩০ কেজি করে ১২ মেট্রিকটন চাল ছিল। খাদ্যগুদাম থেকে ডিলারের কাছে হস্তান্তরের পর এ দায় সংশ্লিষ্ট ডিলারকে বহন করতে হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নৌকাডুবির ঘটনা নিশ্চিত করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবির নাথ চৌধুরী জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শামসুল হুদাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল তাদেরকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় পত্র পাওয়ার পর পণ্য বহনের দায় সংশ্লিষ্ট ডিলারের। চারশ’ বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল ছিল ১২ মেট্রিকটন। চালগুলো যেভাবে গরীব মানুষগুলোর মধ্যে বিতরণ করার নিয়ম ছিল, ঠিক সেভাবেই নতুন করে চাল ক্রয় করে সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চালগুলো বিতরণ করতে হবে। তার ভিজে যাওয়া চাল ডিলার কি করবেন সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার।
তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডিলারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।